দৌড়ানোর কিছু চমৎকার উপকারিতা (বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে)
১. হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: Journal of the American College of Cardiology (২০১৪)-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র ৫-১০ মিনিট ধীরে দৌড়ালেও হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: নিয়মিত দৌড়ানো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
২. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে
ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমায়: The Lancet Psychiatry (২০১৮)-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, বিশেষ করে দৌড়ানো, মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশা কমাতে কার্যকর।
"Runner’s High": দৌড়ানোর ফলে শরীরে এন্ডোরফিন এবং এন্ডোকানাবিনয়েড নামে হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে এবং স্বাভাবিক আনন্দ অনুভূতি দেয়।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর: দৌড়ানো অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় বেশি ক্যালরি পোড়ায়। Obesity (২০১২)-এর গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দৌড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে ওজন নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়।
৪. হাড় ও সংযোগস্থলের (Joints) জন্য ভালো
হাড়ের শক্তি বাড়ায়: দৌড়ানো হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, যা অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক (Medicine & Science in Sports & Exercise, ২০০৯)।
জয়েন্টের সুরক্ষা: Arthritis Care & Research (২০১৩)-এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত দৌড়ানো অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমায়।
৫. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: নিয়মিত দৌড়ানো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। Frontiers in Immunology (২০১৯)-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত দৌড়ানো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬. দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি করে
আয়ু বাড়ায়: Progress in Cardiovascular Diseases (২০১৭)-এর এক বিশদ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দৌড়ানো ব্যক্তিদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ২৫-৪০% পর্যন্ত কমে এবং গড়ে ৩ বছর বেশি আয়ু হয়।
৭. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
স্মৃতি ও মনোযোগ উন্নত করে: দৌড়ানোর ফলে Brain-Derived Neurotrophic Factor (BDNF) বাড়ে, যা নতুন স্নায়ু কোষ গঠনে সহায়ক। এটি স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক কার্যক্ষমতা বাড়ায় (Proceedings of the National Academy of Sciences, ২০০৮)।