কোমরের মাংসপেশিতে যেখানে ব্যথা হয় সেখানে ঠান্ডা বা গরম থেরাপি দিতে পারেন। অনেক সময় যাদের হঠাৎ করে কোমরে ব্যথা শুরু হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু বরফ দিয়ে ঠান্ডা থেরাপি অথবা দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকলে গরম পানির সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে ব্যথা অনেক টা কমে যায়।
১.
আপনি যখন দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন অথবা কোন ভারী জিনিস উত্তোলন করবেন সেই সময় অনেক বেশি সামনে ঝুঁকে কোন জিনিস উঠাবেন না কারণ এটাতে
আপনার কোমরে অনেক চাপ পরতে পারে।
২.নিয়মিত ব্যয়ামঃ কোমর অনেকগুলো মাংসপেশি নিয়ে গঠিত হয়।যখন মাংস
পেশি দূর্বল হয়ে যায় তখন কিন্তু আমাদের ব্যথা যন্ত্রণা হতে পারে।যদি আপনি সাঁতার কাটা,হাঁটাহাঁটি করা,সাইকেল চালনো, মাংসপেশি শক্ত
করার ব্যয়াম এগুলো করেন তাহলে আপনার মাংসপেশি শক্ত
হবে এবং ভবিষ্যতে আপনার কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভবনা একদম কমে যাবে। আপনার কোমরের মাংসপেশি Spasms বা স্ট্রেস ফুল
অবস্থায় থাকে তাহলে Flexibility ব্যয়ামগুলো করলে মাংসপেশি গুলো
রিলাক্স থাকবে এবং কোমর ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৩.
ভারী জিনিস তোলার সময় সতর্কতাঃ কখনো যদি ভারী বস্তু আপনি তোলেন তাহলে কোমর ভাঁজ না করে হাঁটু
ভাঁজ করে বসে জিনিস উঠাবেন বা কোমরের মাংসপেশিতে
ভর না দিয়ে পায়ের
উপরে ভর দিয়ে জিনিস
উঠাবেন তাহলে কিন্তু কোমর ব্যথা কমে যাবে।
৪.আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করাঃ ব্যয়াম , ইন্টারমিডিয়েট ফাস্টিং বা খাবার নিয়ন্ত্রণ
করে আপনি ওজন কমিয়ে ব্যাক মাসলের উপর প্রেসার কমিয়ে নিতে পারেন।
৫.
আপনি যখন চেয়ার বা অফিসের ডেস্কে
বসবেন তখন স্বাভাবিক ভাবে সোজা হয়ে বসতে হবে যাতে অতিরিক্ত সামনে ঝুঁকে কাজ করতে না হয়।
৬.কাজের
মাঝে বিরতিঃ আপনি দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ
করেন তাহলে মাংসপেশি গুলো শক্ত হয়ে যায়।যদি আপনি ৩০ মিনিট কিংবা
১ ঘন্টা কাজ করার পরে ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি
করেন বা বিরতি দেন
তাহলে সেটা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে ব্যথা কমাতে।
৭.ঠান্ডা অথবা গরম থেরাপিঃ কোমরের মাংসপেশিতে যেখানে ব্যথা হয় সেখানে ঠান্ডা
বা গরম থেরাপি দিতে পারেন। অনেক সময় যাদের হঠাৎ করে কোমরে ব্যথা শুরু হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু
বরফ দিয়ে ঠান্ডা থেরাপি অথবা দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকলে গরম পানির সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে ব্যথা অনেক টা কমে যায়।
৮.
আমরা দীর্ঘক্ষণ স্ট্রেসফুল অবস্থায় থাকলে মাংসপেশি শক্ত
হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ইয়োগা, ভাল ঘুম, মেডিটেশন বা নামাজ পড়া
ও ধর্মীয় পার্থনা এগুলো করতে পারেন।
৯.শক্ত বিছানাতে ঘুমানোর অভ্যাসঃ অনেক সময় নরম বিছানাতে ঘুমালে কোমর ব্যথা বেড়ে যায়।তাই যদি শক্ত বিছানাতে ঘুমানো যায় বা যেই বিছানাতে
ফোন একটু কম আছে সেই
রকম বিছানাতে ঘুমানো যায় তাহলে সেটা দারুন ভাবে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
আশা করি আজকের তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
কষ্ট করে সম্পূর্ণ টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।