PLID সার্জারি পরবর্তী সময়ে সঠিক জীবনযাপন ও পুনর্বাসন!

Nerve 23 Feb 2025
PLID সার্জারি পরবর্তী সময়ে সঠিক জীবনযাপন ও পুনর্বাসন!

লুম্বার ব্যাক সার্জারির (যেমন PLID সার্জারি) পরবর্তী সময়ে সঠিক জীবনযাপন ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত আরোগ্য লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে অপারেশন-পরবর্তী জীবনযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা:

সাধারণত, সার্জারির পর ১ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আপনাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। বাড়ি ফেরার পর প্রথমে হালকা কার্যক্রম দিয়ে শুরু করা উচিত এবং ধীরে ধীরে সক্রিয়তা বাড়ানো উচিত। প্রথম সপ্তাহে বাড়িতে কিছু সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। 

২. ব্যথা নিয়ন্ত্রণ:

অপারেশনের পর পিঠে কিছুটা ব্যথা ও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে যাবে। প্রয়োজনে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। 

৩. দৈনন্দিন কার্যক্রম:

হাঁটা: প্রতিদিন হাঁটার চেষ্টা করুন। প্রথমে অল্প সময় দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

বসা ও দাঁড়ানো: দীর্ঘ সময় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকুন। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর অবস্থান পরিবর্তন করুন। 

ভার উত্তোলন: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভারী বস্তু তোলা থেকে বিরত থাকুন। এতে পিঠের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। 


৪. ব্যায়াম ও ফিজিওথেরাপি:

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি শুরু করতে পারেন। এটি পিঠের পেশী শক্তিশালী করতে এবং মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। 

৫. খাদ্যাভ্যাস:
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং প্রচুর পানি পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে পারেন। 

৬. কর্মজীবনে ফেরা:
আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী কর্মস্থলে ফেরার সময় নির্ধারণ করা হবে। হালকা কাজের জন্য ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজের জন্য ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। 

৭. গাড়ি চালানো:
সাধারণত, সার্জারির ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই সময়সীমা নির্ধারণ করবেন। 

৮. যৌন কার্যক্রম:
যখন আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, তখন যৌন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। তবে, এমন অবস্থান এড়িয়ে চলুন যা পিঠে চাপ সৃষ্টি করে বা ব্যথা বাড়ায়। 

৯. মানসিক স্বাস্থ্য:
সার্জারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

১০. নিয়মিত ফলো-আপ:
চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট রাখুন। যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ বা জটিলতা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

সঠিক পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। তবে, প্রতিটি রোগীর অবস্থা ভিন্ন হতে পারে, তাই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা সর্বোত্তম।

ডা. মোঃ গওছুল আযম
ব্রেইন,স্পাইন, নার্ভ ও স্ট্রোক সার্জন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (নিউরোসার্জারি)
রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম, বিএসএমএমইউ
ফেলোশিপ: মাইক্রোস্কোপিক এন্ড এন্ডোস্কোপিক
ব্রেইন ও স্পাইন সার্জারি (তুরস্ক, ভারত, কোরিয়া)
সহকারী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

সিরিয়ালের জন্য অথবা ভিডিও কলে পরামর্শ পেতে কল করুন:
+8801882580286, +8801320766504 (WhatsApp, IMO) ধন্যবাদ